ইনো ১৮৫০ সাল থেকে পেটেন্ট করা ওষুধ। এটি গ্ল্যাক্সও উৎপাদন করে। এর এক প্যাকেটে সিংহভাগ উপাদানই(২.৩২%) সোডিয়াম বাইকার্বনেট থাকে। মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
ইনো খাবেন না যখনঃ
- সোডিয়াম বাইকার্বনেট, সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম কার্বনেট এ আপনার এলার্জি থাকলে,
- সোডিয়াম ডায়েট এ থাকলে,
- ১২ বছরের কম বয়সী হলে,
- কিডনীজনিত সমস্যা থাকলে,
- গর্ভবতী হলে,
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকলে ইনো এড়িয়ে চলুন।
এছাড়াও—
- একবার আপনি এটি ঘন ঘন ব্যবহার শুরু করলে পেটে অ্যাসিডিটির ফ্রিকোয়েন্সিও বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি আরও ঘন ঘন ইনো খেতে চাইবেন। এটি চেইন প্রতিক্রিয়ার মত।
- এটি নিয়মিত খেতে থাকলে সোডিয়াম গ্রহণ আপনার দেহের স্বাভাবিক চেয়ে প্রয়োজনের দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর আধিক্য আপনার শরীরের জল ধরে রাখতে পারে। এটি হার্টের জন্যও ক্ষতিকর।
- অনেক সময় রাতে মানুষ বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব করে। তারা ঘুমের মধ্যে উঠে, রান্নাঘরে যান, দ্রুত ইনো নেন, ফিরে এসে আবার ঘুমান। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, এবং ENO নেওয়ার পরে আপনার অবশ্যই ২০-৩০ মিনিটের জন্য শুয়ে থাকা উচিত নয়। ইনো নেওয়ার পরে, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস মুক্তি পায়, তাই হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তাই সাবধানে খাবেন। এটা তখনি খাওয়া উচিত যখন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি করবে। অযথা খেতে যাবেন না। আর প্যাকেটের পেছনের নির্দেশনা পড়ে দেখবেন। সম্ভবত ১২/২৪ঘন্টা পরপর খাওয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে, দিনে ২/৩বার খেতে বলা হয় না।
? সবচেয়ে ভালো হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া।