নিশ্চয় আপনি ভয় পেয়ে গেছেন! এখন দুধ ও আনারস সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য আপনাকে দেই।
- আনারসে এক ধরনের এনজাইম পাওয়া যায়, নাম ব্রোমেলেইন। এই এনজাইমটি অনেকের শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। ফলস্বরূপ বদহজম, বমি কিংবা ডায়রিয়া হতে পারে।
- আনারসে অনেকের এলার্জি রয়েছে। খেলেই দেখা যায় ঠোট ফুলে গেছে কিংবা গলাতে চুলকানি শুরু হয়ে গেছে কিংবা একটা অস্বস্তি ভাব মনে হচ্ছে।
- আমরা অসুস্থতার কারনে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকি। তো আনারস আর অ্যান্টিবায়োটিক মিলেও ঝামেলার উদ্রেক করতে পারে। এই যেমন- বুকে ব্যথা হতে পারে, জর আসতে পারে, অনেক সময় নাক দিয়ে রক্তও পড়তে পারে।
এইবার আসি দুধের বিষয়ে।
- ল্যাক্টোজ ইনটোলারেন্স শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত আবার অনেকেই পরিচিত নই।
দুধে ল্যাক্টোজ আছে এইটা আমরা জানি। এই ল্যাক্টোজ ভেঙ্গে গ্লুকোজ আর গ্যালাক্টোজ তৈরি করে যা আমাদের অন্ত্র শোষণ করে থাকে। ল্যাক্টোজকে ভাঙতে ল্যাক্টেজ নামক এনজাইম এর প্রয়োজন।
এখন কারো শরীরে যদি এই লেক্টেজ নামক এনজাইম না থাকে তাহলে সে দুধ খেয়ে মোটেও হজম করতে পারবে না। যার করনে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তো এই দুধ হজম করতে না পারা ব্যক্তিরাই হলেন ল্যাক্টোজ ইনটোলারেন্ট।
দুধ ও আনারস এ যে যে সমস্যার কথা বললাম এই সমস্যাগুলো কোন মানুষের থেকে থাকলে যে কোন একটা খেলেই তো বিপদ। আর সে যদি দুইটা জিনিস আবার একসাথে খায় তবে কিছুটা জটিলতা দেখা দিতেই পারে, তাইনা? তবে মারা যাওয়াটা নিছক দুর্ঘটনা।
কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ যে কিনা অনায়াসে দুধ, আনারস হজম করে ফেলে তার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। পৃথিবীর অনেক সুস্বাদু খাবারই এই দুই বস্তু সহযোগে তৈরি করা হয়।
তবে একটা কথা! আমরা জানি খাবার-দাবার হজম শুধু পেটের মধ্যে হয়। কিন্তু একবারও ভাবি না আমাদের মস্তিস্ক কিন্তু সরাসরি এই হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আমি যদি চিন্তা করি খাবারটি খেয়ে আমার কোন একটা সমস্যা হবে তাহলে কিন্তু সমস্যা ঘটে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
একবার বোতলে পানি খেয়ে দেখি বোতলের মধ্যে একটা তেলাপোকা সাঁতার কাটছে। নিজেকে বোঝালাম তেলাপোকা কোন ব্যাপারই না, বেয়ার গ্রিলস দুনিয়া খেয়ে ফেলে আর আমি তো সামান্য তেলাপোকা চুবানো পানিই খেয়েছি। পেটে কোন গোলযোগ দেখা দেয়নি। কিন্তু একবার যদি হাহুতাশ করতাম তো টয়লেটের সাথে নিশ্চিত সেদিন আমার গভীর বন্ধুত্ব হয়ে যেতো।
খাবার হজমের কাজ পেটের মধ্যে হলেও মাথাও এই কাজে জড়িত। মুখের অভ্যন্তরে লালা ক্ষরণ, অন্ননালীর সংকোচন প্রসারণ, পাকস্থলীর সংকোচন প্রসারণ, গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণ, পাকস্থলী থেকে অর্ধপাচিত খাদ্য অন্ত্রে প্রবেশ, পিত্তরস ও অগ্ন্যাশয় রস ক্ষরণ সবই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে।
আমরা যখন ভাবি যা খাচ্ছি এতে কোন সমস্যা আছে তখন বার্তাটি মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। পাওয়া বার্তা অনুযায়ী মস্তিষ্ক পদক্ষেপ নেয় এর ফলে পুরো হজম প্রক্রিয়াটাই গোলমেলে হয়ে যায়। হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাচক রসের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলস্বরূপ দেখা দেয় বমি বমি ভাব, বদহজম ইত্যাদি।
কোনো খাবার খেতে ভালো না লাগলে পেটে অস্বস্তি হয় কেন অর্থাৎ টয়লেটে যেতে হয় কেন?
খাবার হজমের কাজ পেটের মধ্যে হলেও মাথাও এই কাজে জড়িত। মুখের অভ্যন্তরে লালা ক্ষরণ, অন্ননালীর সংকোচন প্রসারণ, পাকস্থলীর সংকোচন প্রসারণ, গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণ, পাকস্থলী থেকে অর্ধপাচিত খাদ্য অন্ত্রে প্রবেশ, পিত্তরস ও অগ্ন্যাশয় রস ক্ষরণ সবই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে।
আমরা যখন ভাবি যা খাচ্ছি এতে কোন সমস্যা আছে তখন বার্তাটি মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। পাওয়া বার্তা অনুযায়ী মস্তিষ্ক পদক্ষেপ নেয় এর ফলে পুরো হজম প্রক্রিয়াটাই গোলমেলে হয়ে যায়। হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাচক রসের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলস্বরূপ দেখা দেয় বমি বমি ভাব, বদহজম ইত্যাদি।
শেষ অনুরোধ, মনে সন্দেহ নিয়ে কোন কিছু খাবেন না। যা কিছু খাই না কেন নিশ্চিন্তে! আপনার যদি মনে হয় আনারস, দুধ একসাথে খেলে বিপদ, তাহলে দূরেই থাকুন।
লিখেছেন – Ariful Islam