বসনের ঐশ্বর্য যেমনই হোক সাথে মানানসই অলংকার যেন নারীদের অহংকারের অংশ। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী সবার পায়ে এখন নূপুর সাজে। হাল সময়ে নুপুরের জনপ্রিয়তা বুঝি একটু বেশিই বেড়ে গেছে। এর কারণ মেয়েদের সালোয়ার, প্যান্ট, জিনস সবকিছুই এখন দৈর্ঘ্যে কিছুটা সংকুচিত। জিনস্টাকে গুটিয়ে উপরে তুলে রাখা, সালোয়ার একটু খাটো করে তৈরি করা, আর থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরা এসবকিছুই এখন ফ্যাশনের অংশ। আর যেখানে পায়ের অনেকটা অংশই উন্মুক্ত সেখানে খালি পা সাজাতে একচিলতে নূপুর না হলেই নয়।
নূপুর
একসময় নূপুর দু’পায়ে একই ডিজাইনে জোড়া বেঁধে পরার রেওয়াজ থাকলেও হাল ফ্যাশনে নূপুরের আচরণটা কিন্তু একটু ভিন্ন। এখন এক পায়ে পাঁচ ছয়টা নূপুর ঝোলানোও স্টাইলের পর্যায়ে পড়ে। নূপুরের এক পায়ে উঠে আসার স্টাইলটা ঢাকাতে পুরনো। চিকন, সুক্ষ্ম কাজের এসব নূপুর অনেকেই ২/৩টা পেঁচিয়ে পায়ে জড়িয়ে থাকেন। তৈরি উপকরণের হিসেবে নূপুর বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। । জায়গা করে নিয়েছে রুপা, ইমেটেশন সহ আরো নানা উপকরণের নূপুর। খুব জমকালো নূপুরের ডিজাইনের প্রচলন এখন আর নেই বললেই চলে। এখন নূপুরের স্টাইলটা খুব হালকা ধরনের। সাথে থাকতে পারে পুঁতি, স্টোন, কৃত্রিম মুক্তা আর ইমেটেশনের নানান ইলাস্ট্রেশন। এছাড়া স্বর্ণের নূপুরগুলোও ডিজাইনে অনেকটাই হালকা হয়ে এসেছে। কিছু পুঁতি আর মিনার কাজ করা নূপুর মানিয়ে যাবে যে কোন পোশাকের সাথে
পায়েল
এক পায়ে পায়েল এখন ফ্যাশন ট্রেন্ড। টিন-এজার তরুণী থেকে চাকরিজীবী নারীরাও ব্যবহার করছেন পায়েল। চিকন, মোটা, স্টোন বসানো, ঝুমকা, পুতুল, ফুল, তারা_কত ডিজাইনের পায়েলই না আছে বাজারে! সব ধরনের পায়েলই মেটালের তৈরি। মেটালের চেইনের সঙ্গে ঝুমকা, পুতুল, ফুল, চাঁদ, তারা ইত্যাদি ঝুলিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে হরেক রঙের স্টোন। তবে সাদা পাথরের পায়েলগুলোই তরুণীরা বেশি পছন্দ করছে।
চেইন
পায়েলের পাশাপাশি এক পায়ে অথবা দুই পায়েই চেইন পরতে পছন্দ করছেন অনেকেই। ছিমছাম ডিজাইনের চেইনগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে শুধু ক্রিস্টাল পাথর বা স্টোন। মেটালের তৈরি এ চেইনগুলো কালো, সোনালি ও রুপালি হয়।
খাড়ু
আদিবাসী গয়না খাড়ু এখন আধুনিক ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ। দেশি ফ্যাশন হাউসগুলো যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করছে নানা আকৃতির বিভিন্ন ডিজাইনের খাড়ু। চিকন, মাঝারি, মোটা_সব ধরনের খাড়ুই পাবেন বাজারে। আগের তুলনায় এখন খাড়ুতে একটু বেশিই কারুকাজ করা হয়। আবার কারুকাজ ছাড়া প্লেইন খাড়ুও পাবেন। রুপা, পিতল, ব্রোঞ্জসহ বিভিন্ন ধাতুতে তৈরি হয় এসব খাড়ু। অঙ্,ি রুপালি ও সোনালির মধ্যে রুপালি রংটাই ক্রেতারা বেশি পছন্দ করছে।