উৎসবে অনুষ্ঠানে যাবেন অথচ হাতে তেমন সাজগোজের সময় নাই?
চট করে পরে নিন একটা নথ বা নাকফুল। মুহুর্তেই চেহারায় গ্লামার যোগ করতে জুড়ি নেই এই ছোট্ট এক টুকরো গয়নার। শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজই নয়, আমাদের তরুণীরা এখন পশ্চিমা ধাচের পোশাকের সাথেও নানা রঙের, গঠনের আর আকারের নাকফুল কিংবা নথ পরছেন।
বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মতে, ‘নাক হচ্ছে মানুষের মুখের সবচাইতে বৈশিষ্ট্যসূচক অঙ্গ। ’ এ কারনেই নাকে গয়না পরলে তা আমাদের মুখের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ।
নাক ফোঁড়ানোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। আর আমাদের উপমহাদেশে নাক ফুঁড়িয়ে গয়না পরার চল শুরু হয়েছে মোঘলদের হাত ধরে। বাংলাদেশে একসময় বিয়ের পরে নারীরা নাক ফোঁড়াত আর নাকের গয়না পরত। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে আর এখন সব বয়সী নারীই বিশেষত তরুণীদের প্রিয় নথ আর নাকফুল।
যদিও একসময় নাকফুল আর নথ মানেই ছিল সোনা, মুক্তা বা হীরা। সেই অবস্থার এখন পরিবর্তন হয়েছে। এখন নানাধরণের ম্যাটেরিয়ালের নাকের গহনা পরছেন তরুণীরা।
অনলাইভিত্তিক গহন শপ কারুকর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, যেহেতু নাক বেশ স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ, তাই নাক ফোঁড়ালে ইনফেকশন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশিরভাগ তরুণী রুপার নাকফুল বেছে নেন।
শুধু অনুষ্ঠান কিংবা উপলক্ষেই নয়, তরুণীরা এখন নিয়মিত নথ কিংবা নাকফুল পরছেন। বিয়ে বাড়িতে দেখা যায় শুধু বউই নয়, আগত অতিথিরাও ছোটবড় টানাযুক্ত নথ পরছেন। তাছাড়া আজকাল নাক না ফোঁড়ানো থাকলেও সমস্যা নাই। যে কেউই চাইলে নানা ডিজাইনের নথ বেছে নিতে পারেন।
শুধু যে নাকের বাম বা ডানপাশে নাকফুল পরা যায় তাইই নয়, নাকের মাঝ বরাবর পরার জন্য বড় বা ছোট নাকছাবিও ভীষণ জনপ্রিয় এখন। একসময়ে যেমন শুধু একটি ছোট্ট সাদা পাথর বা হীরের নাকফুল জনপ্রিয় ছিল, সেই জায়গায় এখন এসেছে অনেকগুলো পাথরের ব্যবহার।
আগে ছোট আকারের নাকফুল পছন্দ করলেও আজকাল বড় আকারের নথ, নাকছাবি, নাকফুল পছন্দ করছেন সবাই।
নাকফুল কিংবা নথের জনপ্রিয়তার কারণে আজকাল শুধু বিভিন্ন মার্কেটেই নয়, অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয় যেখান থেকে খুঁজে নিতে পারবেন আপনার মনের মত নাকফুলটি।