রান্নায় দক্ষ হন কিংবা আনাড়ি, রান্না করতে গিয়ে গরম তেলের ছিটা এসে লাগতেই পারে। এই তেলের ছিটা অল্পস্বল্প হলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। একটু জ্বলুনী হয়েই কমে যায়। কিন্তু তুলনামূলক বেশি হলে মুশকিল। কারণ তখন জ্বালাপোড়া তো হয়ই, অনেকসময় ফোস্কাও পড়ে যায়। আর হাতের কাছে মলম বা ওষুধও থাকে না সবসময়।
অনেকেই পুড়ে গেলেই বরফ ঘষেন আক্রান্ত স্থানে। কিন্তু বরফ রক্তপ্রবাহকে রোধ করে, ফলে পুড়ে যাওয়ার পর বরফ ঘষলে তা ত্বকের ক্ষতি করে। সবচেয়ে ভালো হয় কলের ঠান্ডা পানির নিচে আক্রান্ত স্থান রাখলে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের কাছে ওষুধ না থাকলে তাৎক্ষণিক জ্বালাপোড়া কমাতে ঠান্ডা পানি ছাড়াও কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। আজ কারুকর্ম আপনাদের জানবে কিভাবে গরম তেলের ছিটা থেকে ঘরোয়া উপায়ে রক্ষা পেতে পারেন ।
মধু
আমাদের সবার বাড়িতে প্রায় মধু থাকে। মধুর অনেক গুণের মধ্যে একটা হল পুড়ে যাওয়া অংশে যদি একটু মধু লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কম ফোসকা পড়বে আর তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে। আসলে মধু ন্যাচারল অ্যান্টি সেপটিক তাই এটা লাগালে খুব তাড়াতাড়ি পোড়া অংশ ঠিক হয়ে যায়।
ভিনিগার
বহুল ব্যবহৃত এই ফার্স্ট এইড পুড়ে যাওয়া অংশে লাগালেও তাড়াতাড়ি ক্ষত নিরাময় হয়। পানির সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে তাতে একটা রুমাল বা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো ভিজিয়ে পুড়ে যাওয়া অংশে কিছুক্ষণ রাখুন। কয়েকবার এইরকম করুন। জ্বলুনি যদি খুব বেশি হয় তা হলে আরও বেশিবার করুন, দেখবেন কিছুক্ষণ পরে যন্ত্রণা কমে যাবে।
অ্যালোভেরা
পোড়া অংশে সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোভেরা লাগালে জায়গাটা খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে আর জ্বালাও কমে যাবে। যাদের বাড়িতে অ্যালোভেরা আছে তারা একটুকরো পাতা ছিঁড়ে সরাসরি পোড়া অংশে লাগাতে পারেন। মাঝে মাঝে সিরিয়াস বার্ন সেরে যাওয়ার পর ডাক্তাররা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে বলেন কারণ এটা লাগালে পোড়া দাগও কিছুদিনের মধ্যে মিলিয়ে যায়। যাদের বাড়িতে ফ্রেশ অ্যালোভেরা নেই তারা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসা
কলার খোসা পোড়া জায়গায় লাগালেও আরাম পাওয়া যায়। কলার খোসা পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ না খোসা কালো হয়ে যাচ্ছে। টক দই লাগালেও অনেক সময় ভাল লাগে কিন্তু পুড়ে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এটা লাগানো উচিত। অলিভ অয়েল লাগালেও আরাম পাবেন।