দীর্ঘদিনের সাধনা এবং কঠোর পরিশ্রমের শেষ ধাপ হলো ২ ঘন্টার একটি MCQ পরীক্ষা। এই ২ ঘন্টাটিকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে আপনার এতদিনের এতো পরিশ্রম এক নিমিষেই ব্যর্থ হয়ে যাবে। জেনে নেই বিসিএস পরীক্ষার হলের কিছু করণীয় যা আপনার কাজে লেগে যেতে পারে।
১) মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।
২) পিএসসি অনুমোদন করে না এমন কোন জিনিস নেওয়া যাবে না। যেমন- মোবাইল, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি ইত্যাদি।
৩) উত্তর দেওয়ার সময় আন্দাজে উত্তর করা যাবে না। অর্থাৎ যা কোনদিন শোনেননি তা দাগানো যাবে না।
৪) নম্বর দেখে প্রতিটা বৃত্ত ভরাট করবেন, তা না হলে দেখা যাবে ২০ নম্বরের বৃত্ত ২২ নম্বরে চলে গেছে।
৫) ৫০% নিশ্চিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত। কারণ এতে যোগ বিয়োগ হয়ে আপনার লাভই থাকবে। কিছু ঝুকি নিন।
৬) Attendance sheet এ অবশ্যই অবশ্যই Sign করবেন।
৭) কত গুলো প্রশ্নের উওর দিবেন তা টার্গেট করা যাবে না। প্রশ্নের ধরনের ওপর নির্ভর করবে কতগুলো দাগাবেন।
৮) প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। ‘হয়’ নাকি ‘নয়’ চোখে যেন ধরা পড়ে।
৯) সময়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
১০) কক্ষ পরিদর্শকের সাথে উত্তেজিত হওয়া উচিত হবে না। Silent expel হতে পারেন।
১১) পাশের কারো ওপর নির্ভর করার দরকার নেই। হিতে বিপরীত হতে পারে। হয়ত যাকে বিশেষজ্ঞ ভাবছেন সে বিশেষ অজ্ঞ ও হতে পারে।
১২) প্রবেশপত্র আজই গুছিয়ে রাখুন।
১৩) Negative Marking এর বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
১৪) প্রশ্ন সঠিকভাবে দ্রুত পড়ার চেষ্টা করবেন। আর সাথে সাথেই বৃত্ত ভরাট করে ফেলবেন।
১৫) একটু পুরাতন মোটা কালির বলপয়েন্ট কলম নিয়ে যাবেন।
১৬) প্রশ্নের সেট হলে ভাল করে দেখে নিবেন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে পুরণ করবেন।
১৭) প্রশ্নের সিরিয়াল অনুযায়ী বৃত্ত ভরাট করা শুরু করবেন। তবে গনিত ও মানসিক দক্ষতা শেষে উত্তর করা ভাল।
১৮) একাধিক সঠিক উত্তর থাকলে সিরিয়ালের প্রথমটা দাগিয়ে দিবেন। আর কোন সঠিক উত্তর না থাকলে দাগানোর প্রয়োজন নাই।কিছু প্রশ্ন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল থাকে। আপনাকে কনফিউজড করার জন্য। কিছু প্রশ্নের উত্তর পিএসসির জন্য রেখে আসবেন। মানে ২০০ তো আর দাগাতে পারবেন না। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই।
১৯) আজ রাতে ১১টার মধ্যে ঘুমোতে চলে যেতে পারা উত্তম।
২০) অন্যের উপকার করতে যাবেন না।
শাহ্ মো: সজীব
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
রাজবাড়ী।