লোকে বলে, ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। আমি বলি ঠেলায় না পড়লে মানুষ রান্না শেখে না। আজকের যুগে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে রান্না শেখা জরুরি। কমপক্ষে প্রাথমিক কিছু রান্নাবান্না, এই ধরুন ভাত, আলু সেদ্ধ, ডাল, ডিম – এইসব তৈরী করতে জানা উচিত সকলের।
যাই হোক, আমি কয়েকটা রান্নাঘরের হ্যাক বলছি।
- কয়েকদিনের রাখা কাঁচা ডিম খারাপ নাকি ভালো আছে সেটা কী করে জানবেন। একটা বড়ো পাত্রভর্তি জল নিন। তাতে ডিমগুলো ছেড়ে দিন।
- যদি ডিম গুলো একদম জলের তলানিতে ঠেকে থাক, তাহলে সেগুলো তখনও ভালো আছে।
- যদি ডিমগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, কিছুটা পাত্রে ঠেকে আছে কিছুটা জলে (এরকম ভাবে ?) তাহলে ডিম গুলো নষ্ট হতে যাচ্ছে।
- যদি ডিমগুলো ভাসতে থাকে, তাহলে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, ফেলে দেওয়া ভালো(কাউকে ছুঁড়ে মারতে পারেন।)
2. করলা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু খুব তেতো বলে অনেকেই খেতে চাই না(করলা তেতো তাই করলা খাওয়া ভালো, এই মন্তব্য ঠিক না)। এখন, তেতো কমানোর একটা হ্যাক বলি। এক পাত্রে জলে নুন মিশিয়ে দিন। তারপর করলা কেটে মোটামুটি 30 মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর করলা তুলে(জল ঝেড়ে শুকিয়ে) রান্না করে নিন। তেতো ভাব অনেকটা কমে যাবে।
3. গরমকালে নুন দিয়ে শষা – ভাবলেই মুখে জল আছে। কিন্তু অনেক সময় শষা তেতো বেরোয়। এক কামড় দিয়েই খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। শষার তেতো হওয়ার কারণ হলো কিউকারবিটাসিন(Cucurbitacin) নামক একটা যৌগের উপস্থিতি। তেতো ভাব কমানোর জন্যে এরকম ভাবে একটু মাথা কেটে ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ সাদা রঙের কিছু পদার্থ বের হতে থাকে। এর পরে কেটে খেয়ে নিন, তেতো লাগবে না।
4. পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ কার না জ্বলে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা কিছু এনজইম ও রাসায়নিক মিলিত হয়ে একটা গ্যাস তৈরী হয়, যেটা চোখের হালকা জলের সাথে মিশে সালফিউরিক এসিড তৈরী হয় যা জ্বলনের অনুভূতি তৈরী করে। এর ফলে চোখ দিয়ে আরো বেশি জল বেরোয়। এটা এড়াতে পেঁয়াজ কাটার আগে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন বা ঠান্ডা জলে(খোসা ছাড়িয়ে) চুবিয়ে রাখুন। আর কাটার সময়ে ফ্যান চালিয়ে রাখুন, যাতে গ্যাস সরাসরি চোখে না পৌঁছয়, ফ্যানের হাওয়াতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
5. একসাথে বেশি করে কলা কিনে বাড়িতে রেখে দিলে, দু একদিনের মধ্যেই অতিরিক্ত পেকে গিয়ে কলা খারাপ হয়ে যায়। আরো কয়েকদিন বেশি রাখার জন্যে কলার বোঁটার মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে দিন। এতে বোঁটায় থাকা রাসায়নিক(যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ফল পাকতে সাহায্য করে) তাড়াতাড়ি কলার মধ্যে পৌঁছতে পারেনা অর্থাৎ আসতে আসতে পাকে। তাই বেশিদিন টেকে।