MCQ এবং লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে পারাটা আবশ্যক ।
আমাদের অনেকেরই ইংরেজি ভীতি রয়েছে এবং তা চর্চার অভাবে দিন দিন আরও বৃদ্ধি পায় । আপনি যদি দৈনিক কিছু সময় ইংরেজির পেছনে ব্যয় করেন তবে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার জড়তা কেটে গেছে । ইংরেজিতে ভালো করতে গেলে যেসব করতে পারেন —–
- শুরুতে as usual বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্নগুলো মনোযোগ দিয়ে একটু দেখে ফেলুন । এতে আপনার ধারণা হবে কেমন প্রশ্ন হয় , যেটা জানা আপনার জন্য খুব জরুরী । ইংরেজিতে vocabulary and grammar এ ভালো দক্ষতা থাকাটা আপনার জন্য জরুরী । এই দুটোতে আপনি দক্ষ থাকলে আপনার জন্য MCQ এবং লিখিত পরীক্ষা দুটোতেই খুব কাজে আসবে । আরও যা যা আপনার স্টাডি করলে ভালো তা হোল group verb, idioms and phrases, appropriate preposition, translation etc . আপনার vocabulary strong হলে আপনার জন্য antonym,synonym, analogy ইত্যাদিতে ভালো করাটা সহজ হবে ।
- আপনি দৈনিক একটা রুটিন মাপিক যেকোনো vocabulary বই বা dictionary থেকে কিছু কিছু করে নতুন শব্দ শেখা শুরু করে দিন । আপনার মনে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ একটি খাতায় নোটও করতে পারেন । আপনার কিছু প্রিয় different শব্দও লিখে রাখতে পারেন যেগুলো লিখিত পরীক্ষাতে ব্যবহার করবেন ।
- এরপর আপনি group verb, idioms and phrases, appropriate preposition ইত্যাদির জন্য যেকোনো গ্রামার বই থেকে দৈনিক 1 page করে স্টাডি করতে পারেন । কিছু ইংরেজি proverb জানাটাও আপনার দরকার । এজন্য দৈনিক কিছু কিছু করে proverb দেখুন , যেমন দৈনিক ১০ টি করে । যেকোনো ভালো গ্রামার বই হলেই হয় প্রকৃতপক্ষে । কারণ বই তো একই , কিন্তু সেই বই থেকে একেকজনের লব্ধ জ্ঞান একেকরকম হয় । আর কোন কিছু মনে না থাকলে হতাশ হবেন না । কেউই একবারে সব মুখস্থ করে ফেলেনা । কোন কিছু ভুলে গেলে আবার রিভিশন দিন ।
- গ্রামার এর অংশ থেকে দৈনিক একটি করে টপিক ভিত্তিক প্রস্তুতি নিন । যেমন আজ parts of speech পড়লেন, পরদিন degree, তারপর number, gender, kinds of phrases, agreement of verb,transformation and classification of sentences (prebd. com) এভাবে একেকদিন একেক টপিক দেখে ফেলুন । traditional গ্রামার দেখে ফেললে আপনার basic শক্তিশালী হবে আর আপনার কনফিডেন্স ও বাড়বে । তবে translation এর দিকেও নজর দেবেন । দৈনিক যেকোনো বই থেকে ২-৩ পৃষ্ঠা করে translation চর্চা করুন । এই বই এর translation এর শেষে অনেক passage আছে যেগুলো চর্চা করতে পারেন কিছু কিছু করে, আপনার দক্ষতা বাড়বে । মাঝে মাঝে খাতায় যেকোনো টপিক বা ঘটনার ওপর কিছু বানিয়ে বানিয়ে ইংরেজিতে লিখুন । লিখার মান বাড়বে এবং ধীরে ধীরে জড়তাও কেটে যাবে । পারলে আপনার সার্কেলে যারা চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন অন্তত একজন বন্ধুর সাথে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন । তার সাথে নতুন নতুন শব্দ নিয়েও আলোচনা করুন ।
- পারলে দৈনিক সকালে যেকোনো ইংরেজি পত্রিকা এক নজর দেখুন । নতুন কোন শব্দের অর্থ না বুঝলে ডিকশনারিতে দেখুন অথবা ইন্টারনেটেও দেখতে দিতে পারেন । সাহিত্য অংশের জন্য ইন্টারনেট এর সাহায্য নিতে পারেন । বিখ্যাত সাহিত্যিকদের বই এর নাম, বিখ্যাত কবিতা, গল্প, উপন্যাসের নাম , বিখ্যাত উক্তি এসব দেখে নিন । যতটুকু পারা যায় আরকি । একদম নিজের মনের মত প্রস্তুতি নেয়াটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা সাধারণত । তাই এর মাঝেই যতটুকু পারেন আপনার সাধ্যমতো প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করবেন ।
- যারা একটু দুর্বল আছেন ইংরেজিতে তারা দৈনিক চর্চা চালিয়ে যাবেন ।
- কখনোই অল্পে হতাশ হবেন না । এত অল্পে হতাশ হবার বা হাল ছেড়ে দেওয়ার কি আছে বলুন না? কত মানুষ জীবনে কত কষ্ট কত সংগ্রাম করে উন্নতি করছে । আপনি শেষ না দেখা পর্যন্ত স্টাডি চালিয়ে যাবেন । আর অবশ্যই সকল চাকুরীর পরীক্ষাতে অংশ নিবেন । ছোট বড় মাঝারি যেকোনো একটা চাকুরী পেলে আপনার কনফিডেন্স বাড়বে যা আপনার জন্য খুবই দরকার । সেটা সরকারী বা বেসরকারি যে চাকুরীই হোকনা কেন । নিজের ওপর কনফিডেন্স রাখুন , অযথা সময় নষ্ট না করে চেষ্টা চালিয়ে যান । সফল আপনি হবেনই ।
aryan ahmed
assistant commissioner of taxes