You are currently viewing যদি অলস, সাপ্লিখাওয়া ও ব্যাকবেঞ্চার হয়ে থাকেন তাহলে পরামর্শ গুলো চাকুরীর পরীক্ষার জন্য কাজে লাগবে – পর্ব ৫: ওস্তাদের মার শেষ রাতে

আপনি যেহেতু এইলেখা পড়ছেন তাই ধরেই নিচ্ছি আপনি অলস মানুষ। আবার আপনি চাচ্ছেন বিসিএস পরীক্ষায় পাস করতে। কিন্তু ভায়া এটা এত সহজ কাজ না।

কিন্তু আপনি পারবেন, কারন এতদিন অলসতা করে আপনি শক্তি সঞ্চয় করেছেন, ঘুমিয়েছেন, রেস্ট নিয়েছেন তাই আপনার মাঝে এখন প্রচুর শক্তি। এই শক্তি কাজে লাগিয়ে আপনাকে শেষ সময়ে ওস্তাদের ভূমিকা নিতে হবে।

সার্কুলার হয়ে গেছে। এখনই সময় আপনার খেল দেখানোর আসল সময়। অন্তত এই সময়টা পড়াশোনা করেন। তবে অতিরিক্ত সিরিয়াস হতে যেয়ে সব ভন্ডুল করে দিবেন না।

এই সময়টা খুব ট্রিকি। বুদ্ধি করে কাজে লাগাতে হবে।

যা যা করবেন:

১. এখনই বই খাতা নিয়ে পড়তে বসে যান। কাল বসবো এই কথা বলবেন না। কাল কখনোই আসবে না। আজই এখনই বসুন। এক পৃষ্ঠা হলেও পড়ে স্টার্ট করুন।

২. কতক্ষন পড়বেন? ১৮-২০ ঘন্টা পড়ার চিন্তা ছেড়ে দিন। এটা সম্ভব না। ৬ ঘন্টা দিয়ে শুরু করুন। বাড়াতে বাড়তে ৮ঘন্টা পর্যন্ত নেন। ৮ ঘন্টা যদি পরীক্ষা পড়তে পারেন তাহলে যথেষ্ট।

৩. সাজেশনের পিছনে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। সাজেশন দিয়া কেউ পরীক্ষায় পাস করে না। নিজের সাজেশন নিজেই তৈরী করেন। এন্ড্রয়েড অ্যাপ – জব সার্কুলার

৪. ছোট ছোট টার্গেট করে পড়েন। টার্গেট যাতে বড় না হয়। বড় টার্গেট করলে পুরন করতে পারবেন না। হতাশা বাড়বে। এক্ষেত্রে তৃতীয় পর্বে দেওয়া ম্যাজিক বুক টেকনিকটি ফলো করতে পারেন।

৫. গাদা গাদা বই, নোট, পত্রিকা সংগ্রহ করার পেছনে সময় নষ্ট করবেন না। শুরুতে যেকোন একটা প্রকাশনীর বই দিয়ে শুরু করুন।

৬. পড়াশোনাটাকে কোন মতেই চাপ হিসেবে নিবেন না। আনন্দের সাথে পড়ুন, দেখবেন পড়া এগুচ্ছে।

৭. অবশ্যই খাওয়া, ঘুম আর বিশ্রাম এই তিনটা জিনিস ঠিক রাখবেন।



আরো পড়ুন



যা যা করবেন না:

১. বিসিএস পাস করতেই হবে, না করলে জীবন শেষ এমন মনোভাব ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন সবাই কখনোই পাস করবে না। তাই আপনার যোগ্যতা থাকার পরও আপনি যাতে বাদ না পড়েন সেই চেষ্টাই করুন।

২. অন্যের সাথে নিজের তুলনা করবেন না। আপনার বন্ধু অনেক পড়ে ফেলেছে কিন্তু আপনি কিছুই পড়েন নি এমন ভাবার দরকার নাই। নিজের মতো পড়তে থাকুন। কে কতো আগে সিলেবাস শেষ করলো তার সাথে পরীক্ষায় ভালো করার কোন সম্পর্ক নেই।

৩. পরীক্ষার আগে আত্মীয়স্বজনদের বাসা, বিয়ে, জন্মদিন এসব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আত্মীয়স্বজনদের প্রত্যাশ্যার চাপ আপনার উপর মানসিক চাপ বাড়াবে।

৪. ওমুক স্যারের বই, তমুক স্যারের বই না পড়লে চান্স পাওয়া যায় না এসব আলোচনা থেকে দুরে থাকুন। বিশ্বাস করুন আমি ভাইবা পাস করার পর এমন অনেক বইয়ের নাম শুনেছি যেগুলো না পড়লে নাকি পাস করা সম্ভব না।

সবশেষে একটাই কথা আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলেই আপনি ভালো করতে পারবেন।

Leave a Reply