উদ্ভিদ প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপাদান। পৃথিবীতে মনুষ্য জাতির টিকে থাকার জন্য গাছের কোন বিকল্প নেই। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যে উদ্ভিদগুলো দেখতে পাই তার মধ্যে এমন কিছু উদ্ভিদ রয়েছে যারা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। যাদের প্রতি বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এদের মধ্যে দীর্ঘকায়, ক্ষুদ্র, প্রবীণ, রঙ-বেরঙের, অদ্ভুতাকৃতির কত রকমের গাছ যে আছে তা লিখে শেষ করা যাবে না।
আমাদের পৃথিবীতে প্রায় ২,৯৮,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এতোগুলো প্রজাতির মধ্যে কিছু গাছ সুন্দর ও সুগন্ধী ফুল উৎপন্ন করে, কিছু গাছ মাজাদার পুষ্টি-সমৃদ্ধ ফল উৎপন্ন করে, কিছু গাছে আছে ঔষধি গুনাবলী এবং আবার এদের মধ্যে কিছু কিছু উদ্ভিদের রয়েছে পুরোপুরি অদ্ভুত চেহারা ও বৈশিষ্ট্য।
চলুন বিশ্বের এরকম কিছু অদ্ভুত উদ্ভিদ সম্পর্কে জানা যাক। ভ্রমন পিয়াসুরা দেশ দেশান্তর ঘুরে এসব বৃক্ষ পর্যটনের উদ্দেশ্যে।
বাওবাব গাছ
আফ্রিকান নেটিভ অঞ্চলের এই গাছগুলো দেখলে মনে হবে কোনও গ্রহ থেকে এসব গাছ এসে পড়েছে। তবে এই গাছের এক প্রজাতি অস্ট্রেলিয়াতেও পাওয়া যায়। বাওবাব গাছের কান্ড দেখতে অনেকটা বোতলের মত হওয়াতে একে ‘বোতল গাছ’ নামেও ডাকা হয়।
– এদের ভীষণ মোটা গুঁড়ি পানি জমিয়ে রাখতে কাজে লাগে।
– এই গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধও তৈরি হয়।
– বাওবাব ফলে যে চিনি ও পেকটিন থাকে তা দিয়ে কোমল পানীয় তৈরি হয়।
– একে চকোলেট ও আইসক্রিমের সুগন্ধি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
– ‘লাউ’ এর মতো দেখতে বাওবাব গাছের ফল খুব মজাদার যা বানরদের খুব প্রিয় খাবার।
– বাকল থেকে বের হয় শক্ত ও লম্বা আশঁ। যা দিয়ে তৈরি করা হয় রশি এবং কাপড়।
– এদের কান্ড কাঠ খুবই নরম এবং হালকা। তাই যেকোনো জীব জন্তু বা পাখি অনায়াসে ঠুঁকরে গর্ত করে ফেলতে পারে এবং তৈরি করতে পারে রাস্তা ।
– অনেক সময় মানুষেরাও এদের গোড়ায় গর্ত করে বিশ্রামগার তৈরি করে। মরু ঝড়ে মানুষ এই গাছের গুড়ির গর্তে আশ্রয় নিয়ে থাকে।
আধুনিক কার্বন এক্স-রে পদ্ধতিতে প্রমাণিত হয়েছে যে একটি বাওবাব গাছ ৩ – ৫ হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
বাওবাবের কান্ড এত পুরু যে তা অগ্নি প্রতিরোধী। কান্ড থেকে একধরনের তন্তু পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে তৈরি হয় দড়ি, বাদ্যযন্ত্রের তার, জলনিরোধী ব্যাগ, এমনকি ছাতাও। বাওবাব ফুল বেশ বড় এবং দেখতে সাদা রঙের। এদের ফল ১৮ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হয়। প্রমাণ সাইজের ফলগুলো থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত শাঁস, যা বেশ সুস্বাদু খাবার। টক-মিষ্টি স্বাদের বাওয়াব ফল দুগ্ধজাত খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
মালাউইয়ের অধিবাসীরা এ ফল দিয়ে তৈরি করে দারুণ এক জুস। ভিটামিন সি তে পরিপূর্ন এই ফল, সাথে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং পর্যাপ্ত আঁশ। এই এন্টি অক্সিডেন্ট কী করে তা কমবেশি সবারই জানা আছে। শরীররে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয় এই এন্টি অক্সিডেন্ট আর আঁশ পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী। বীজ থেকে তৈরি হয় তেল, সৌন্দর্যচর্চায় যার দারুণ চাহিদা রয়েছে। ভেজে খেতেও মন্দ না বাওবাব বীজ।
আর ফলের খোসা! সেগুলো দিয়ে তৈরি হয় পাল্প এজেন্ট। এদের পাতাও ফেলনা নয়। দারুণ স্বাদের চাটনি তৈরি হয় এদের পাতা সিদ্ধ করে। মালাউই, জাম্বিয়া আর জিম্বাবুয়েতে দারুণ জনপ্রিয় এই চাটনি। টাটকা এবং শুকনো- দু’ভাবেই খাওয়া হয় এদের পাতার নির্যাস। উত্তর নাইজেরিয়াতে এদের আলাদা নাম পর্যন্ত আছে- কুকা। কুকা সুপের প্রধান উপাদান এটি।
জাপানি এক কোম্পানী বাজারে ছেড়েছে বাওবাব পেপসি নামে হালকা টক স্বাদযুক্ত ঠান্ডা পানীয়। তবে বাধ সেধেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারা কেন জানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাওবাব ফলকে। তাই আস্ত ফল পাওয়া যাবে না ইউরোপে। কিন্তু তাই বলে বাওবাব প্রেমীরা মানবে কেন? স্বল্প পরিসরে ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বলতে গেলে বাধ্য হয়েই। ইউরোপের সুপার মার্কেটে তাই পাওয়া যাচ্ছে বাওবাব ফলের শাঁস।
ড্রাগন ব্লাড গাছ
ড্রাগন ব্লাড গাছ ইয়েমেনের উপকূলে আরব সাগরে সুকাত্রা দ্বীপের এই গাছটি দেখতে বেশ অদ্ভুত। ভৌগোলিক পরিবেশ ও বিচিত্র ধরনের উদ্ভিদের কারণে এ দ্বীপটি ‘এলিয়েন আইল্যান্ড’ বা ‘ভিনগ্রহবাসীদের দ্বীপ’ নামে পরিচিত। হঠাৎ করে গাছগুলো দেখলে মনে হতে পারে বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙের ছাতা। বছরে একবার ফুল দেয়। উপযুক্ত পরিবেশে ড্রাগন ব্লাড ট্রি কয়েকশ বছর বাঁচতে পারে। গাছের বৃদ্ধি খুবই ধীরগতিতে হয়। গাছটি প্রায় ৩২ ফুট লম্বা হয়।
– গাছের বিভিন্ন অংশ হোমিওপ্যাথির কাজে লাগে যেমন-গাছের মূলের কষ টুথপেস্ট ব্যবহারে লাগে।
– এ গাছের গভীর লাল আঠালো পদার্থ রং তৈরিতে ও বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত হয়।
– ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে। স্থানীয় লোকজনরা সর্বরোগের চিকিৎসায় এই আঠা ব্যবহার করে।
ধারণা করা হয়, বহুকাল আগের ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের উৎপত্তি এবং সে অনুযায়ী এর নামকরণ!
এই গাছে ছোট কুলের মতো টকটকে লাল রঙের ফল হয়। গবাদি পশুকে স্বল্প পরিমাণে তা খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্যের উল্লেখজনক উন্নতি হয়। তবে বেশি খেলে স্বাস্থ্যহানিও হতে পারে।
গাছের গুঁড়ি থেকে ঘন লাল রঙের আঠা বের হয় যা বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং রং তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ৬০ খ্রিস্টাব্দেও বিভিন্ন দেশে এই আঠা রপ্তানি করা হত। মনে করা হয়, বিশ্বখ্যাত স্ট্র্যাডিভ্যারিয়াস বেহালা রাঙাতেও তা ব্যবহার করা হত। গাছের গাঢ় লাল রস থেকেই স্থানীয়দের মুখে গাছটির নাম হয় ড্রাগন ব্লাড ট্রি।
তবে দূষণের কারণে ক্রমেই এই বিরল গাছের অস্তিত্ব সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের জেরে আর্দ্রতা হারাচ্ছে এই অঞ্চলের বাতাস। ফলে দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে ড্রাগন ব্লাড ট্রি-রা। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী ২০৮০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় নেবে প্রকৃতির অন্যতম আদিম সন্তান।
আর পড়ুন ….
আরো পড়ুন
- ওয়ানডে ম্যাচের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ান প্রথম নারী ফারজানা
- দেশের প্রথম নারী প্যারা কমান্ডো জান্নাতুল ফেরদৌস
- কেন এখন বিয়ের উপহার (Marriage Gift) উপহার হিসেবে নগদ টাকাই বেশি প্রত্যাশিত !!
- স্বাস্থ্যকর নখ (Nails) বজায় রাখার টিপস
- লিপস্টিক এর আবিষ্কার
ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ
ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ বা বুনো কীটকল একধরণের পতঙ্গভুক উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার জলাভূমিতে পাওয়া যায়। এর পাতা খুব দ্রুত নিজের শিকারকে ফাঁদে আটকে দেয়। এটি নিজের ভেতর থেকে এমন এক সুগন্ধ ছড়ায় যার জন্য পোকামাকোড় আকর্ষিত হয়ে গাছটির কাছে আসে আর তখনই গাছটি তাদের শিকার করে। এই গাছের পাতার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া ও এনজাইম থাকে যা এই পোকামাকোড় গুলিকে পোঁচাতে সাহায্য করে। এর ডাইজেস্টিভ এনজাইম দশদিনের মধ্যে পোকা-মাকড় হজম করতে সাহায্য করে।
সম্পূর্ণ একটি উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ফুট (৩০ সে.মি.)। বসন্তকালে এর লম্বা মাথার ওপর চমৎকার সাদা ফুল ফোটে। কিন্তু উদ্ভিদটির সবচেয়ে দর্শনীয় জিনিসটি হচ্ছে এর পাতা। ফাইট্র্যাপের সরু সবুজ পাতাগুলো উদ্ভিদটির গোড়ার চারপাশে জন্মে। প্রত্যেকটি পত্রফলক ঝিনুকের খোলসে মত দুইখন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রত্যেকটি খন্ডের মাঝখানে একটি মধ্যশিরা থাকে। খন্ড দুটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১ ইঞ্চি (২.৫ সে.মি.)। খন্ড দুটির ভেতরের তল সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি খন্ডের চারপাশের বাইরের প্রান্তে অসংখ্য শক্ত, সূচালো শুঙ্গ থাকে। এগুলোকে বলা হয় সিলিয়া। প্রত্যেকটি খন্ডের ভেতরের দিকে তিনটি ট্রিগার হেয়ার থাকে।
ফ্লাইট্র্যাপের এরূপ সংবেদনশীলতার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। কারণ এই উদ্ভিদের কোনো স্নায়ুতন্ত্র নেই, নেই কোনো মাংসপেশী বা রগ। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণামতে একপ্রকার তরলচাপের প্রভাবে লোবে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয় এবং এই তড়িৎপ্রবাহের কারণেই লোব বন্ধ হয়ে যায়। লোবের ট্রিগারগুলো ‘মেকানোসেন্সর’ (Mechanosensor) হিসেবে কাজ করে যা যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। পতঙ্গের নড়াচড়ার কারণে ট্রিগারে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা তড়িৎশক্তি হিসেবে পাতার মধ্যশিরা বরাবর প্রবাহিত হয়। এর ফলে বিশেষ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রপথে লোবের অভ্যন্তরীণ কোষ থেকে পানি বহিঃস্থ কোষে প্রবাহিত হয় যা লোবে রসস্ফীতির সৃষ্টি করে। রসস্ফীতির কারণেই লোবগুলো বন্ধ হয়ে যায়, অর্থাৎ ফাঁদ আটকে যায়।
কক্যাকটাস
পাতা নেই, শুধু গা-ভর্তি কাঁটা, এমন উদ্ভিদের নাম ক্যাকটাস। ক্যাক্টাস ঘরের ভেতর টবে লাগানো হলে ১০ থেকে ৪০ বছর এবং জমিতে আরো বেশি বছর বেঁচে থাকে পারে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ক্যাকটাসের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা।
ক্যাকটাস মরুভূমির উদ্ভিদ হলেও ইনডোর প্ল্যান্ট বা ছায়াবান্ধব গাছ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা আছে।
ক্যাকটাসের রকমফের
বানি ইয়ারস ক্যাকটাস: খরগোশের কানের মতো দেখতে হয় বলেই এর নাম দেওয়া হয়েছে বানি ইয়ারস। এই ক্যাকটাস দুই থেকে তিন ফুট লম্বা হয়। পর্যাপ্ত আলো পেলে সাদা ফুল ও বেগুনি ফলও ধরে এই গাছে।
চিনা ক্যাকটাস: এই ধরনের ক্যাকটাসেও গোলাপি ফুল ধরে। কিছু চিনা ক্যাকটাস ছায়ায় ভাল বাড়ে আবার কিছু ক্যাকটাসের রোদ দরকার হয়।
সাগুয়ারো ক্যাকটাস: প্রায় চল্লিশ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এই ক্যাকটাস বাড়তে পারে। তবে খুব ধীর গতিতেই এই ধরনের ক্যাকটাস বাড়ে। তাই বাড়ির ভিতরেও এদের রাখা যায়।
ওল্ড লেডি ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাস বালিতেই ভাল হয়। ২৫০ প্রজাতির ওল্ড লেডি ক্যাকটাস পাওয়া যায়। বসন্তে গোলাপি ও বেগুনি ফুল ফোটে এই ক্যাকটাসে।
ইস্টার ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাসে ফুল ফোটে শীতের শেষে ও বসন্তের শুরুতে। সাদা, কমলা ও ল্যাভেন্ডার রঙের এই ফুল ক্যাকটাসের মাথা আলো করে থাকে।
Source : Gardening Know How
ব্যারেল ক্যাকটাস: এর গোল আকারের জন্য এ রকম নাম। একাধিক রিব দিয়ে এর গায়ে ভাগ থাকে। সেই রিবের উপরে থাকে কাঁটা। মে-জুন মাস নাগাদ লাল, হলুদ ফুল ফোটে।
ক্র্যাব ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাস বাড়ার জন্য অন্যান্য ক্যাকটাসের তুলনায় শীতল আবহাওয়া প্রয়োজন। এর ফুলও ফোটে শীতেই। এই ধরনের ক্যাকটাস সচরাচর বাজারে পেয়ে যাবেন।
লজ্জাবতী গাছ
লাজুক প্রকৃতির উদ্ভিদটি খুব পরিচিত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি। এটি আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। উদ্ভিদটির স্নায়ুতন্ত্র খুবেই সংবেদশীল প্রকৃতির হওয়ার কারণে পাতাগুলি স্পর্শ করার সাথে সাথে নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। তাপের প্রভাবে বা সন্ধ্যা বেলাতেও পাতা বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গাছের ফুলগুলিও খুব সুন্দর। এই প্রজাতিতে প্রায় ৪০০ প্রজাতি রয়েছে ।
পাইন ট্রি
পাইন ট্রি পোল্যান্ডের গ্রাফাইনো জঙ্গলে এমনও কিছু গাছ আছে যে তার অদ্ভুত আকৃতির জন্য প্রসিদ্ধ। ১৯৩০ সালে পাইন গাছগুলিকে এই জঙ্গলে বসানো হয়েছিলো। পাইন ট্রি গাছের শিকড় ৩০মাইল পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই গাছের বাঁকা চেয়ারের মত আকৃতি মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই আকৃতি গাছ গুলিকে দেওয়া হয়েছে তা আজও রহস্য। সেই কারণে এই জঙ্গলটি বিশ্বে রহস্যময় জঙ্গল হিসাবে প্রসিদ্ধ।
পিচার প্লান্ট বা কলস উদ্ভিদ
কলসের মতো দেখতে অদ্ভুত উদ্ভিদটি আসলে মাংসাশী উদ্ভিদ । মানুষ খেঁকো না হলেও এটি ছোট ছোট পোকা-মাকড় ও কীটপতঙ্গ শিকার করে। কলস উদ্ভিদের কলসের মুখটা লাল রংয়ের ফুলের মতো দেখায় বলে সহজেই পোকামাকড় আকৃষ্ট হয়। তাছাড়া এটির মুখে মধু উৎপন্ন হয় আর এই মধুর লোভে কীটপতঙ্গ এসে ভিড় করে কলসের মাথায়। বিশেষ তরল দিয়ে ভরা গভীর গহ্বর শিকার ধরতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে মোট ৮০ প্রজাতির কলস উদ্ভিদ আছে।
এই অদ্ভুত ও রহস্যময় গাছ গুলির সমন্ধে আপনি কি ভাবছেন তা নীচের কমেন্টবক্সে লিখে জানান।